Emotional Well-being: নিজের ভেতরের মানুষটিকে আগলে রাখার গল্প

আজকের ব্যস্ত জীবনে আমরা অনেক কিছু সামলাই — কাজের চাপ, সামাজিক টেনশন, সম্পর্কের টানাপোড়েন... কিন্তু সবচেয়ে অবহেলিত থেকে যায় নিজের মানসিক অবস্থা।

শরীর খারাপ হলে যেমন ওষুধ খাই, বিশ্রাম নিই, কিন্তু

মন খারাপ হলে আমরা কী করি?

 👉 চেপে রাখি, মুখে মিথ্যা হাসি টেনে বলি, "ভালো আছি!"

আর এখানেই আমরা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলি আমাদের Emotional Well-being।
🔹 Emotional Well-being আসলে কী?
Emotional Well-being হলো নিজের আবেগ কে চেনা, বোঝা, সম্মান করা এবং সেগুলোর সাথে সুস্থভাবে মোকাবিলা করতে শেখা।
এটি মানসিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা আমাদের:

  ⏭ চিন্তাভাবনায় স্থিরতা আনে

  ⏭ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে

  ⏭  সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল করে তোলে
  ⏭ চাপ মোকাবিলায় শক্তি দেয়
 
🔹 কেন Emotional Well-being গুরুত্বপূর্ণ?
✅ আপনি নিজেকে ভালো করে বুঝতে পারবেন
✅ আবেগের ভারে ভেঙে না পড়ে ধীরে ধীরে সামলে উঠতে পারবেন
✅ জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে
✅ অন্যদের সাথেও সম্পর্ক ভালো থাকবে
 
🔹 Emotional Well-being ধরে রাখার কিছু সহজ অভ্যাস:
 ⏭  নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: আমি কেমন আছি?
শুধু “ভালো” বা “মন্দ” না — রাগ, হতাশা, ক্লান্তি, আগ্রহ, ভালোবাসা... কোনটা বেশি অনুভব করছেন?
 ⏭ নিজের আবেগকে অস্বীকার নয়, স্বীকৃতি দিন
আপনি মানুষ — কষ্ট পাবেন, রাগ করবেন, ভেঙে পড়বেন। এটাও সুস্থ থাকার অংশ।
 ⏭ সময় দিন নিজেকে
প্রতিদিন অন্তত ১০–১৫ মিনিট নিজের জন্য রাখুন — হাঁটাহাঁটি, বই পড়া, কিছু লেখা বা নিঃশব্দে বসে থাকা।
 ⏭যার ওপর ভরসা করেন, তার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন
ভেতরের কথা চেপে রাখলে মন আরও ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
 ⏭নিজের সীমানা নির্ধারণ করুন (Boundaries)
সবকিছুর দায়িত্ব নেওয়ার দরকার নেই। "না" বলতে শিখুন, সেটাই আত্মসম্মান।
 ⏭ প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন
হঠাৎ ভেঙে পড়লে, কাউন্সেলর বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন — এটা দুর্বলতা নয়, দায়িত্ব।
 
শেষ কথা:  নিজেকে একটু ভালোবাসার আহ্বান
সুখ-দুঃখ, হতাশা-আনন্দ — এগুলো জীবনের অংশ। জীবনের সব প্রশ্নের উত্তর সবসময় অন্য কেউ জানবে না, কিছু উত্তর লুকানো থাকে একান্ত নিজের ভেতরে।❞
সেই ভেতরের মানুষটিকে ভালোবাসুন, সময় দিন। ভুল করলে মাফ করুন, কাঁদলে কাঁদতে দিন, হাসলে মন খুলে হাসুন।
Emotional Well-being মানে সর্বদা সুখী থাকা নয়।
 Emotional Well-being হচ্ছে,  নিজের অনুভূতির পাশে দাঁড়ানো, নিজেকে বুঝতে ও ভালোবাসতে পারা।
"আপনার মনের যত্ন নেওয়াটা বিলাসিতা নয় — এটা প্রয়োজন।"

Post a Comment

0 Comments